আমাদের শুঁটকির
বৈশিষ্ট্য
- অর্গানিক সামুদ্রিক চিংড়ি শুটকি
- বিষাক্ত ক্যামিকেল মুক্ত
- জৈব প্রযুক্তিতে ফিশ ড্রায়ার দিয়ে শুকানো
- শতকরা ৬১.৭৫ ভাগ প্রোটিন
- প্রিমিয়াম প্যাকেজিং
- রান্না করার আগে শুঁটকি কেটে কুসুম গরম পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে নিন
জৈব প্রযুক্তিতে মাছ
প্রসেসিং করার প্রক্রিয়া
মাছ শুঁটকি করার জৈব প্রযুক্তি হচ্ছে কোন ধরনের কৃত্রিম
রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই খাদ্যযোগ্য নানা জৈব পদার্থ ব্যবহার করে শুটকি প্রক্রিয়াজাত
করা। জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শুটকির রঙ ও স্বাদ যেমন অক্ষুন্ন থাকে, তেমনি ক্ষতিকর রাসায়নিক
দ্রব্য না থাকার কারণে এতে পুষ্টিমান শতভাগ অপরিবর্তিত থাকে। জৈব প্রক্রিয়ায়
শুঁটকি উৎপাদনের ধাপগুলো হচ্ছেঃ
ধাপ ১: মাছ সংগ্রহ
ক. শুঁটকি করার জন্য
উপযোগী টাটকা মাছ সংগ্রহ করা
খ. পরিষ্কার পানি দ্বারা
মাছ থেকে কাদামাটি ও অন্যান্য বাহ্যিক ময়লা ধুয়ে চকচকে করে ফেলা
গ. মাছের গাদায় পচা গলা
মাছ থাকলে সেগুলো বেছে ফেলে দেয়া
ধাপ ২: বাছাই
ক. ক্রেতার চাহিদা অনুসারে
মাছের প্রজাতি ভেদে বাছাই করা।
খ. একই প্রজাতির মধ্যে
আবার আকার ও জৈবিক অবস্থা (ডিম/চর্বি) অনুসারে সেগুলো আলাদা করা। ডিমওয়ালা ও বেশি
চর্বিযুক্ত মাছ শুঁটকি করার উপযুক্ত নয়
ধাপ ৩: ড্রেসিং
ক. মাছ ধোয়ার জায়গা
প্রস্তত করা
খ. নাড়ি ভুড়ি বের করা, আশ ফেলা এবং প্রয়োজনে
স্লাইস করে আংশিক কেটে ড্রেসিং করে নেওয়া। যেমন- ছুরি মাছের পেটে অন্য মাছ থাকলে
তা অবশ্যই
নাড়ি ভুড়ির সাথে বের করে নিতে হবে। রুপচাদা মাছের নাড়ি-ভুড়ি বের করার প্রয়োজন নেই, তবে বড় মাছ স্লাইস করে
কেটে নিলে ভালো শুঁটকি হয়।
ধাপ ৪: পানি ঝরানো
ড্রেসিং করা মাছের বাশের আড়ায় সারিবদ্ধভাবে ঝুলিয়ে পানি
ঝরিয়ে নিতে হবে। পানি না ঝরিয়ে গাদা করে রাখলে মাছ নষ্ট হয়।
ধাপ ৫: জৈব উপাদান
প্রয়োগ
পানি ঝরার পর হলুদ ও মরিচের গুড়ার মিশ্রণ দিয়ে প্রস্তুত
করার পানিতে
ভালো করে চুবিয়ে তুলে মাছ শুকাতে দিতে হবে। প্রতি ১০ লিটার
পানিতে অন্তত ২৫০ গ্রাম হলুদ ও সমপরিমান মরিচের গুড়া মিশিয়ে মাছ ডুবানোর জন্য একটা
ড্রামে রাখতে হবে। শুটকির জন্য প্রস্তুত করা মাছ এতে অন্তত ৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে
হবে।
ধাপ ৬: নিরাপদ জায়গায়
শুকানো
হলুদ মরিচে ভেজানো মাছ সারিবদ্ধ ভাবে পর্যাপ্ত রোদ পায় এমন
জায়গায় শুকাতে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে মশারির জাল দিয়ে মাছ ঢেকে দিতে হবে। মশারি
দিয়ে তৈরি মাচার মধ্যে মাছ শুকানো আরো ভালো। এতে করে মাছ কাক, চিল, শকুন ইত্যাদির ক্ষতিকর
ও নোংরা পাখি থেকে নিরাপদ থাকে। প্রাথমিকভাবে রোদে শুকানোর পর ফিস ড্রায়ারে দিয়ে
শুকানো যেতে পারে।
কাচা মাছ শুকিয়ে তার ওজন এক চতুর্থাংশ হলে অর্থাৎ ৪ কেজি
মাছ শুকিয়ে ১ কেজি শুঁটকি হলে তা প্যাকেট করার উপযুক্ত হয়।