পনির
কী? কীভাবে প্রস্তুত করা হয়?
পনির হলো দক্ষিণ এশিয়ায়
প্রচলিত ছানা থেকে তৈরি একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। আমরা চিজ বলে যে খাবারটা চিনে থাকি, সেটাই পনির। সাধারণত ফুটন্ত দুধে লেবুর রস অথবা ভিনেগার যোগ করা হয়। এর ফলে
দুধ থেকে ছানা এবং পানি আলাদা হয়ে যায়। এরপর একটি শুকনো কাপড়ে ছানা ছেঁকে
অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া হয়। পরে ছানার মণ্ডটিকে ঠান্ডা পানিতে ২-৩ ঘণ্টা
ডুবিয়ে রাখা হয়। এভাবে ছানা থেকে পনির প্রস্তুত করা হয়।
চিজ
বা পনির কীভাবে খাবেন?
পনির নানাভাবে খাওয়া যায়।
ফাস্টফুড তৈরি করতে গেলে তো পনির বা চিজ ছাড়া কথাই নেই। বার্গার খাবেন? চিজ দিন। পিজা বানাবেন? চিজ লাগবেই। স্যান্ডউইচ? চিজ ছাড়া আসল স্বাদটাই পাবেন না। তরকারিতেও পনির খেতে পারেন। ডিম ভাজির সাথে
কুচি কুচি করে ভেজে খেতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রাই বা ভাজিতে পনির মিশিয়ে নিন; স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। চাইলে সালাদের মতো করেও খেতে পারেন। রেঁধেও খেতে
পারেন, এমনি সেধে খেতেও বাঁধা নেই। চাইলে চিপসের মতো
ভেজেও খেতে পারেন। দুই স্লাইস ব্রেডের মাঝে দুই টুকরো চিজ দিয়ে খাওয়ার স্বাদের কথা
নাইবা বললাম।
কেন
খাবেন পনির?
পনিরে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ, এবং বি-১২। পনিরে
থাকা ওমেগা-১৩ এর কথা না বললেই নয়। যা অল্পবয়সে চুল পাকা রোধ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি
কমায়। ডায়াবেটিস টাইপ-২ নিয়ন্ত্রণে পনিরের ফলাফল খুব আশাব্যঞ্জক। সমীক্ষায় দেখা
গেছে, প্রতিদিন ৩০/৪০ গ্রাম পনির খেলে টাইপ-২
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৮% কমাতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের যাদের অভাব, তাদের জন্য পনির বেশ কার্যকর একটি খাবার।
তবে সতর্কতা হলো, পনির পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত খেলে চর্বি বেড়ে যেতে পারে।
অষ্টগ্রামের
পনির
অষ্টগ্রামের পনিরের ইতিহাস
বেশ পুরনো। ধারণা করা হয়, এর সুনাম প্রায় ৩০০ বছর
ধরে। মুঘল শাসনামলে অষ্টগ্রামে থাকতে আসে দত্ত পরিবার। তাদের হাত ধরে এর প্রচলন
শুরু হয়। ষাটের দশক থেকে এই সুনাম আরও ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে প্রায় প্রতিটি ঘরে পনির
তৈরির প্রচলন শুরু হয়। অষ্টগ্রামের পনিরের বৈশিষ্ট্য হলো—প্রতি দশ লিটার দুধ থেকে
মাত্র ১ কেজি পনির প্রস্তুত করা যায়।
অবশেষে আমাদের কাছে
পাচ্ছেন অষ্টগ্রামের পনির, হালকা লবণযুক্ত।